T20 World Cup : ক্যারিবিয়ানদের কাছে ৩ রানে হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের
সেমিফাইনালের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে গেলে দুই দলের কাছেই জেতা জরুরি ছিল। শেষ পর্যন্ত স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের। গ্রুপ অফ ডেথে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩ রানে হেরে সেমিফাইনালের আশা শেষ মাহমুদুল্লাদের। অন্যদিকে, জিতে সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখল ক্যারিবিয়ানরা। যদিও সম্ভাবনা যথেষ্ট ক্ষীণ। গ্রুপ লিগের বাকি দুটি ম্যাচ জেতার পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলাফলের দিকে। টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। আগে ম্যাচে মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাদ পড়েন লেন্ডল সিমন্স। তাঁর পরিবর্তে প্রথম একাদশে সুযোগ পান রস্টন চেজ। টি২০ অভিষেক ম্যাচেই নজর কাড়েন তিনি। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪৬ বলে করেন ৩৯। যদিও সিমন্সের পরিবর্তে ওপেন করতে নামা ক্রিস গেল ব্যর্থ। ১০ বল খেলে মাত্র ৪ রান করে মেহেদি হাসানের বলে বোল্ড হন তিনি। গেল আউট হওয়ার আগে লুইসকে (৬) তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান। হেটমায়েরও (৯) রান পাননি। তিনি মেহেদি হাসানের শিকার। ১৬ বল খেলে ৮ রান করে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন কায়রন পোলার্ড। পোলার্ড বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই এক বল না খেলেই রান আউট হয়ে ফিরে যান আন্দ্রে রাসেল। রস্টন চেজের শট তাস্কিন আমেদের পায়ে লেগে যখন নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের উইকেট ভেঙে দেয়, তখন ক্রিজ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রাসেল। এরপরই ঝড় তোলেন নিকোলাস পুরান। ২২ বলে তিনি করেন ৪০। শেষ পর্যন্ত জেসন হোল্ডারের (৫ বলে ১৫) সৌজন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ৭ উইকেটে তোলে ১৪২। পরে আবার ব্যাট করতে নেমে পোলার্ড ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। মেহেদি হাসান ২৭ রানে ২টি, শরিফুল ইসলাম ২০ রানে ২টি ও মুস্তাফিজুর রহমান ৪৩ রানে ২টি উইকেট পান। জেতার জন্য মরিয়া বাংলাদেশও এদিন ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন করেছিল। লিটন দাসের পরিবর্তে মহম্মদ নইমের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু তিনি সুবিধা করতে পারেননি। ১২ বলে মাত্র ৯ রান করে তিনি রাসেলের বলে আউট হন। সৌম্য সরকার ও মহম্মদ নঈম দুজনেই ১৭ রান করেন। ওপেন করতে নেমে শাকিব ৯ রানে আউট হন। মুশফিকুর রহিম ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। তিন নম্বরে নামাআ লিটন দাস ৪৩ বলে ৪৪ রান করে ১৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হন। শেষ ওভারে বাংলাদেশের জেতার জন্য দরকার ছিল ১৩। ৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি। ৫ উইকেটে ১৩৯/৫ রানে থেমে যায়। মাহমুদুল্লা ২৪ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।